মতানৈক্যের কারণে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত অভিবাসন নীতি নিয়ে বিরোধের জেরে নেদারল্যান্ডসের জোট সরকার ভেঙে গেছে।  জোটের অন্য দলগুলোর সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় মন্ত্রীসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে, জোটের শরিকদের অভিবাসন নীতির ব্যাপারে ভিন্ন মত রয়েছে। আজ দুর্ভাগ্যবশত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমাদের পার্থক্যগুলো অমিলযোগ্য।

আজ দুর্ভাগ্যবশত এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমাদের পার্থক্যগুলো অমিলযোগ্য। সেজন্য আমি অবিলম্বে রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডারের কাছে আজ শনিবার লিখিতভাবে লিখিতভাবে পুরো মন্ত্রিসভার পদত্যাগের প্রস্তাব দেব।

অভিবাসন নীতি নিয়েই ফাটল ধরে রুটের জোট সরকারে। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল চারটি দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে।

এ উত্তেজনা প্রশমনে শুক্রবার (৭ জুলাই) বৈঠকে বসেন তারা। কিন্তু কেউই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।

এরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন মার্ক রুটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকার ভেঙে যাওয়ায় নভেম্বরে দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রুটে পদত্যাগ করলেও তার সরকারের মন্ত্রীসভা আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।

নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসময় দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী রুটে। ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। এরপর আরও তিনবার জোট গঠন করেই ক্ষমতায় টিকেছিলেন।

নেদারল্যান্ডসে গত বছর শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন ৪৭ হাজার মানুষ। যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি। আর এ বছর দেশটিতে আশ্রয় প্রত্যাশীর সংখ্যা ৭০ হাজারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।